Thursday, June 23, 2011

কিংকর্তব্যবিমুঢ়ঃ .....................////////////////////......রহস্যগল্প*_*_*_*_*_

কিংকর্তব্যবিমুঢ়ঃ ২৬-১০-২০০৭

মাকে মাত্র কয়েকটা পাতা দেয়া হয়েছে আমার মনের কথা লেখার জন্য।আমি কি লিখবো সেটাই বুঝতে পারছিনা।অবশ্য গত ৫ বছর আগেও আমি বুঝতে পারিনি আমি লিখতে পারি।যখন বুঝতে পারি তখন আমি খ্যাতির শিখরে। কি? কিছু বুঝতে পারছেন নাতো?
আচ্ছা প্রথম থেকেই বলি- বুঝতে পারবেন......

আমি ধীরেন্দ্রনাথ মিত্র, বাবা- মৃত- নাগেন্দ্র মিত্র, মা- প্রমিলা দেবী।

বাবা যখন মারা গেছেন অখন আমি অনেক ছোট।ঘরে রোজগার করতেন আমার বড়দা। এভাবে মায়ের আদর- ভায়ের স্নেহ পেয়েই বড় হচ্ছিলাম- কিন্তু কপালে দুঃখ থাকলে- কেউ সুখ এনে দিতে পারেনা। যেদিন দাদা বিয়ে করে লাল টুকটুকে বউ নিয়ে ঘরে এসেছিল- সেদিন থেকে আমার দুঃখ শুরু।

প্রথম প্রথম বৌদি বেশ ভাল ছিলো- মাকে আর আমাকে অনেক আদর করতো- কিন্তু আমি প্রাইমারি থেকে হাইস্কুলে উঠতেই বৌদি যেন কেমন পাল্টে গেল। আমাকে ঠিক মত খেতে দিত না। মাকে যাচ্ছেতাই বলে খিস্তি করত- সাথে ভয় দেখাত- আমাদের ঘর থেকে বের করে দেবে- মা আমার বড়ই সরল মহিলা-দাদার কাছে কিছুই বলত না-তাই একদিন দাদার কাছে আমাদের নামে অনেক উল্টা পাল্টা নালিশ করতেই দাদা আমাকে মেরে তাড়িয়ে দেন ঘর থেকে। মা আমার জন্মদুঃখী- চোখের পানি ছাড়া আমাকে কিছুই দিতে পারেনি।


বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদিন রেলস্টেশনে ছিলাম-খেয়ে না খেয়ে থাকতাম। মুটে মজুরের কাজ করতাম। দু-চার পয়সা যা পেতাম তাতে ভাত পেলে তরকারি জুটতোনা- তরকারি পেলে নুন জুটতোনা।

তারপর একদিন- কোত্থেকে এক তান্ত্রিক এসে নামল স্টেশনে। জীবনে অনেক তান্ত্রিক দেখেছি- উনার মত কাউকে দেখিনি। মাথায় জটা না থাকলে উনাকে বেশ ভদ্র ঘরের বাবু বলে চালিয়ে দেয়া যায়।বেশ দামী পোশাক আশাক- কিন্তু পিঠে বিরাট ঝোলা। আমি বড় ঝোলাটা দেখে এগিয়ে গেলাম তান্ত্রিকের দিকে।বললাম-
“ঝোলাটা দেবেন? বইতে পারছেন না যে?”

উনি বললেন “ কিরে দুঃখ বইতে বইতে তো নুইয়ে পড়েছিস-আমার ঝোলা বইতে পারবি?” কথাটা বলেই যেন তীক্ষ্ণ চোখ দুটো দিয়ে আমার মনের ভেতরটা পড়ে ফেললেন এক নিমিষেই।

আমি বেশিক্ষন তাকাতে পারলাম না- চোখ নামিয়ে নিলাম। মনের ভেতর অভিমান আন্দোলন করে উঠল-
বললাম- “ ঝোলা দিলে দেন- না দিলে যাই- সারা দিন খাওয়া হয়নি- আপনার কাছে কিছু পেলে আমি সকালের আর দুপুরের খাবার টা একসাথে সেরে নিতে পারবো” কথাটা বলেই উত্তরের অপেক্ষায় না থেকে হাটা দিলাম পেছনের দিকে- আর তখনই ডাকলেন তান্ত্রিক-
“ কিরে ধীরু আমার সাথে যাবি? পেট ভরে খেতে দেব দুবেলা। যাবি?”

আমি তো অবাক- উনি আমার নাম জানলেন কিভাবে এটা ভাবতে ভাবতে কোন সময় যে উনার সাথে হাটতে থাকলাম নিজেই টের পাইনি। যখন টের পেলাম তখন আমি স্টেশন থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি।

এরপর হটাত মনে একটা ভয় কাজ করল- শুনেছিলাম কেঊ একজন তান্ত্রিক বাচ্চাদের মাথার খুলি সংগ্রহ করার জন্য বাচ্চাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে অপহরণ করছে। তাই নিজেই নিজেকে সাবধান করে এগিয়ে গেলাম তান্ত্রিকের সাথে।

কোথায় উনি আমাকে নিয়ে যাবেন কোন এক শ্মশানে- আমাকে উনি নিয়ে যেতে লাগলেন আমাদের পাশের গ্রামের পুরনো ভাঙ্গা কালীবাড়ির দিকে। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনা শেষে তান্ত্রিক কালী মন্দিরেই আস্তানা গাড়লেন। কালী মন্দিরের সাথে লাগোয়া এক বিশাল বটগাছ ছিলো। ছোটবেলায় এই খানেই আমি স্কুল ফাঁকি দিয়ে এসে একা একা বসে থাকতাম- তাই যায়গাটা আমার বেশ আপন মনে হল। অবশ্য কালী মন্দিরকে ঘীরে একটা ভয় কাজ করত- সেটা ছিলো সাপের ভয়- এখানেই এক সময় প্রায় জনাদশেক লোক সাপের কামড়ে মারা পড়েছিলো- তারপর থেকে এদিকটায় খুব একটা জরুরী কাজ ছাড়া কেঊ আসেনা দিনের বেলায় ও। একদিন আমি এখানেই তিনটা বাচ্চা সহ বাস্তু সাপের এক পরিবার দেখে কখনোই এমুখো হইনি।


মন্দিরে গিয়ে আমাকে দিয়ে মন্দিরটা পরিষ্কার করালেন তান্ত্রিক।আমি ও খুশিমনে পরিষ্কার করলাম। বটগাছের নিচেই তান্ত্রিকের বসার যায়গা করে দিলাম। খাবার দাবার বলতে আমার কুড়িয়ে আনা ফলমূল। দুজনে ভাগ করে খাই- আর আমি দিনে রাতে দুবেলা ঘুমাই- এভাবেই আমার দিন কেটে যাচ্ছিল।


এরপর এক নিশুতি রাতে- প্রচণ্ড এক চিৎকারে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি শব্দের উৎসের দিকে দৌড়ে গিয়ে যা দেখলাম তাতে আমার চক্ষুচড়কগাছ। দেখি- বটগাছের গোঁড়ায় বিশাল এক আলোক পুঞ্জ- তান্ত্রিক সেই আলোক পুঞ্জকে উদ্দেশ্য করে শ্রাষ্টাঙ্গে প্রনাম রত- আমি আরও একটু এগিয়ে দেখলাম- সেই আলোক পুঞ্জে এক অপূর্ব রূপসী নারী মূর্তি- দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিলাম-তান্ত্রিক সিদ্ধিলাভ করেছেন।আমি ও সাথে সাথে প্রণাম করলাম- উঠে দেখি আলক রশ্মি লোপ পেয়েছে।

পরদিন সকালে তান্ত্রিক আমাকে ডেকে একটা কালির দোয়াত,একটা কলম- আর একটা লাল সালু বাঁধানো খাতা দিলেন। আমাকে এগুলো দিয়ে বললেন –

“আমি চলে যাচ্ছি রে বাছা-এখানে আমার কাজ শেষ- তোকে আমি এ জিনিস গুলো দিলাম। আর একটা থলে দিলাম। থলেতে অনেক গুলো সোনার মোহর আছে। এগুলো আমার তরফ থেকে উপহার। হিসেব করে চলবি। আর কখনো লোভ করবিনা। মনে রাখিস- লোভে পাপ- পাপে মৃত্যু।”


কথা গুলো বলে তান্ত্রিক চলে গেলেন। আমি জিনিস গুলো নিয়ে আমার নিজ বাড়িতে ফিরে এলাম। কিন্তু ভাগ্য খারাপ- এসে যা শুনলাম তাতে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল- আমার মা আমি চলে যাবার পরদিন মারা গেছেন। দাদা সমস্থ সম্পত্তি বিক্রি করে শহরে চলে গেছেন। আমি আমাদের পুরনো ভিটার সামনে বসে ছিলাম- সেখান থেকে এক দুঃসম্পর্কের দিদি আমাকে উনার বাড়িতে নিয়ে গেলেন। আমি উনাকে আমার জিনিস গুলো বুঝিয়ে দিয়ে থলে থেকে একটা স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে বের হলাম।


ভাগ্য আমার প্রসন্ন- আমি গঞ্জে একটা বাসা পেয়ে গেলাম। সেখানে সেই

দুঃসম্পর্কের দিদিকে নিয়ে এলাম- উনি বিধবা ছিলেন-তাই আমাকে না করেন নি। আমি নতুন বাসায় থাকা শুরু করলাম। এভাবে পায়ের উপর পা তুলে কাটতে লাগলো আমার দিন।কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছিলাম বসে বসে খেলে রাজার ধন ও ফুরিয়ে যায়- কথাটা আমার ক্ষেত্রে সত্য হল- আমার সেই ঝোলার সব টাকা শেষ হয়ে গেল।

অনেক ভাবলাম- প্রায় বছর পাঁচেক পর আমি আর মুটে মজুরি করার উপযুক্ত নই। লেখা পড়া ও তেমন নেই যে আমি চাকরি পাবো। তাই এক বাল্য বন্ধুর কাছে গেলাম। সে আমাকে লেখা লেখি করার জন্য পরামর্শ দিল।


লেখালেখির অভ্যাস আমার কোনদিনই ছিলোনা। ছোটবেলায় আমার একটা কবিতা একটা দেয়াল পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। এরপর আমি আর কোনদিন লিখিনি। আর সেই ঠুনকো অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা প্রেমের গল্প লিখে ফেললাম। তারপর দুরু দুরু বুকে গেলাম এক স্বনাম ধন্য প্রকাশকের কাছে- উনি আমার পাণ্ডুলিপি পড়তে নিলেন।


কিন্তু দুলাইন পড়েই ছুড়ে ফেলেদিলেন খাতাটা। দূর দূর করে তাড়িয়ে দেবার আগে বললেন-“ সস্থা প্রেমের গল্প না লিখে ভুতের গল্প লিখুন- পাঠক খাবে ভালো।”


কথাটা মনে ধরল- বাসায় ফিরে এসে বসলাম কাগজ কলম নিয়ে-অনেক কষ্ট করে গায়ের লোম দাঁড়ানো একটা ভৌতিক গল্প লিখলাম। পরের দিন আবার গেলাম সেই প্রকাশকের কাছে। উনি আমার গল্প পড়ে ভয় পাবেন কি- হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়লেন। বললেন- “বাচ্চারা খাবে ভালো”।

রাগে অপমানে আমি দিশেহারা হয়ে পড়লাম। বাসায় এসে দেখি আমার প্রচন্ড জ্বর। এর আগে চারদিন ধরে খাইনি কিছু। এর মাঝে মাঝে আমি বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় আমি স্বপ্ন দেখি সেই তান্ত্রিক কে। দেখি সেই তান্ত্রিক আমার মাথার কাছে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলছেন-
“ওরে বোকা- তুই আমার দেয়া কাগজ কলম গুলো দিয়ে লেখালেখি কর- দেখবি তুই অনেক বড় হবি”

এটা বলেই উনি অদৃশ্য হলেন। পরদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি গায়ে একদম জ্বর নেই- আমি কোন রকমে উঠে বসে পুরনো ট্রাঙ্ক থেকে বের করলাম সেই কাগজ কলম আর দোয়াত। তারপর মা কালীর নামে শুরু যেই লেখা শুরু করতে যাবো এমন সময় কে যেন বলে ঊঠল- “দাঁড়ান”।

শব্দ টা শুনেই শরীরের সবগুলো লোম দাঁড়িয়ে গেল সাথেসাথে। আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম। তবুও মনে মনে সাহস নিয়ে বললাম- “কে?”
“আগে বসতে দিন” বলেই হাওয়া থেকে কে যেন আমার পাশে রাখা খালি চেয়ার থেকে জমিয়ে রাখা পুরনো কাপড় চোপড় গুলো ফেলে দিয়ে পেছনে টেনে বসে গেল- কাঠের ক্যাচক্যাচ শব্দ জানান দিল চেয়ারে কেঊ একজন বসেছে। কিন্তু তাকে দেখা যাচ্ছেনা।

আমি সাহস করে বললাম- “কে আপনি? কোথায় আপনি? আমি তো কাউকেউ দেখছিনা”।

চেয়ারের উপর থেকে সেই আশরিরী বলল- “দেখবেন কি ভাবে? আমি তো মৃত”
“মৃত!!!” শব্দটা মুখে মুখে উচ্চারন করে আমার হাত পা কাঁপতে লাগল- মনে হচ্ছিল আমি তখনি পড়ে মরে যাব।

আশরিরী বলল-‘ আমি জগত্তলাল মিস্ত্রি- লিখুন- আমার জীবনের কাহিনী লিখুন- আমার মরনের কাহিণী লিখুন”। বলে গড় গড় করে বলে গেল কিভাবে সে কিভাবে মারা গেল সেই কাহিণী।


আমি ও সম্মোহিতের মত লিখে গেলাম। গল্প শেষ হতে আমি নিজে যা লিখেছি পড়তেই গায়ের লোম গুলো সরসর করে দাঁড়িয়ে গেল আবারো।

এবার আমি বেশ সাহস নিয়ে গেলাম সেই প্রকাশকের কাছে। কিন্তু তিনি আমাকে কাজের ছুতো দেখিয়ে দেখা দিলেন না। আমি পরদিন আবার গেলাম। সেদিনো আমাকে ফেরত দিলেন। এরপর দিন আমি আবার যেতেই বিরক্ত হয়ে আমার হাত থেকে পান্ডুলিপিটা নিলেন। আর এক নিমিষে গল্পটা শেষ করলেন। গল্পের শেষে আমি স্পষ্ট দেখলাম ঊনার হাতের লোম গুলো দাড়িয়ে গেল হটাত করে। নাকের উপর জমা হল বিন্দু বিন্দু ঘাম। কানের দুপাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল দুটো ঘামের ধারা।
পড়া শেষ হতে উনি আস্তে আস্তে নামিয়ে রাখলেন খাতাটা-চেয়ার ছেড়ে উঠে আমাকে সজোরে জড়িয়ে ধরলেন- বললেন এরকম ভৌতিক লেখা বাংলা সাহিত্যে আর একটা ও লেখা হয়নি।

তারপরের সপ্তাহের মাঝেই আমার বই বাজারে এল।এবং বাজারে আসার দুদিনেই সব বই শেষ হয়ে গেল। আর আমার হাতে চলে এল বেশ কিছু টাকা।


এর পরের দিনগুলো বেশ স্বাভাবিক ছিলনা- প্রতিদিন আমি দু-তিনজন আশরিরী ডেকে আনতাম। জবানবন্দি সেই লাল খাতায় লিখে নিতাম সযত্নে। আর মাস শেষে তিনটি করে নতুন ভৌতিক উপন্যাস বের হতে লাগলো। প্রচুর টাকা পেলে যা হয়- আমি একবছরের মাথায় লাখপতি- আর বছর চারেকের মাঝে কোটি পতি বনে গেলাম। বাড়ি হল গাড়ি হল- দশবারো জন চাকর রাখলাম।


একটা ছোট্ট ঘরে আমার রাইটিং রুম বানালাম। সেখানে আমি ছাড়া সবার ঢোকা বারন ছিল। আমার একসময় এমন অবস্থা হল- যে সাধারন চিঠিপত্র লেখালেখি করার সময় আশরিরী এসে উপস্থিত হতো। প্রথম প্রথম মধুর লাগতো সে সব দেখে- কিন্তু পরে আমি নিজেই যন্ত্রনায় পড়ে যেতাম।

এরপর একদিন কোন এক সর্বনাশা সময়ে আমার সেই লাল খাতা শেষ হয়ে গেল। আমি সাধারণ কাগজেই লেখা শুরু করলাম। কিন্তু এর দিন দশেকের মাঝে সেই ভৌতিক কালির দোয়াত ও শেষ হয়ে গেল। আমি সাধারন কলম দিয়েই লিখে গেলাম কাহিনী। প্রথম প্রথম আমার ডাকে বেশ সহজেই আত্মা উপস্থিত হত। কিন্তু পরবর্তীতে আত্মা আস্তে গরিমসি করত। আমি জোড় করে প্রেতলোক থেকে ডেকে আনতাম আত্মা। এভাবে দিনেরপর দিন প্রেত লোক থেকে আত্মা ডাকতে ডাকতে কখন যে আমি নিজের মৃত্যু ও ডেকে এনেছি বুঝতে পারিনি। আমার লোভ আমাকে শেষ পর্যন্ত সমাপ্তির পথে টেনে নিয়ে এল।

আজ এই মাঝ রাতে আমি দেখছি- আমার চারপাশে হাজার হাজার আত্মা- আমাকে ঘীরে তাকিয়ে আছে-দেখছে কি লিখছি আমি। আমাকে মাত্র কয়েকটা পাতা দিয়েছিল ওরা- সেগুলো প্রায় শেষের পথে- এরপর যে কি ঘটবে আমি সেটা আর বুঝতে পারছিনা- মাথাটা প্রচন্ড জ্বালা করছে- এমন সময় কেউ একজন আমার কাঁধে হাত রাখল।ওরা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে-কাছে-আরো কাছে............


ইতি- কিংকর্তব্যবিমুঢ়




পরদিন দেশের প্রতিটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় একটা খবর ছিল-

কিংকর্তব্যবিমুঢ় নিখোজঃ
“প্রখ্যাত প্রথিতযশা লেখক- বাংলাসাহিত্যের ভৌতিক গল্প লেখার পুরোধা কিংকর্তব্যবিমুঢ় ওরফে ধীরেন্দ্রলাল মিত্র নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। সকালে ঘরে কাজের ছেলে কিংকর্তব্যবিমুঢ় কে না পেয়ে পুলিশকে ফোন করে-পুলিশ গিয়ে কিংকর্তব্যবিমুঢ়ের লেখার ঘরের দরজা ভেঙ্গে কিছু পায়নি। সেখানে উনার শেষবার পরিহিত কাপড় টেবিলের উপর পড়েছিল। পুলিশ সন্দেহ করছে উনি............”


(সমাপ্ত)

No comments:

Post a Comment