সকাল থেকে মনটা খুব খারাপ সোহাগের। নাম তার সোহাগ হলেও মা বাবার কাছ থেকে খুব একটা আদর সোহাগ পায়নি সে।আর ওর মতো রাস্তার টোকাইকে কেই বা আদর সোহাগ করে তার সময় নষ্ট করতে যাবে?আর ওর মতো সাত আট বছরের টোকাইয়ের মন খারাপ কথাটা শুনতেই কেমন যেন বেখাপ্পা লাগে।তবু ও সোহাগের মন খারাপ।আর সে মন খারাপ করে পাশে ঝোলা নিয়ে বসে আছে ওদের বস্তির পাশের এক চায়ের দোকানের টুলে।কারণ টা আর কিছুই নয়-গতরাত থেকে মুষলধারে ঝরে পড়া বৃষ্টি।
এই বৃষ্টির ফোঁটাগুলো মাঝে মাঝেই এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে সোহাগকে-তাতেই ঠান্ডয় কেঁপে উঠল ওর শরীর।কুড়িয়ে পাওয়া শার্টটা ভিজে লেগে আছে ওর শরীরে। শুকিয়ে যাবার আগেই ওকে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে কাজে।গতকাল রাতে ও ওকে ভিজতে হয়েছে বৃষ্টিতে। ওর মা মনোয়ারা বুয়া খুব অসুস্থ-তবু ও ডাক্তার দেখাতে পারেনি সোহাগ।পাড়ার মোড়ের ডাক্তার সাহেব একশো টাকা না দিলে ওষুধ লিখে দেননা। তবুও বারকয়েক ডাক্তার সাহেবকে ডেকেও সাড়া না পেয়ে ওষুধের দোকানে গিয়াছিলো ওষুধ কিনতে।কিন্ত মাত্র দশ টাকা কম হওয়াতে দোকানের মালিক দামী ঔষধটা না দিয়েই তাকে বিদায় করে দেয়-কিন্তু নাছোড়বান্দা সোহাগ দাড়িয়ে থাকে সারারাত।শেষরাতে ওকে আশা ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে ই হল- দোকানদার মাত্র দশটাকার জন্য ওকে দামী ঔষধটা দিলনা-যেটা ছাড়া সে কোনভাবেই তার মাকে সুস্থ করে তুলতে পারবেনা....
ভোর রাতে বস্তিতে ফিরে এসে সোহাগ দেখে ওর মা ঘুমিয়ে পড়েছে।সকাল হতেই ঝোলা হাতে নিয়ে বের হতে গিয়ে দেখে বৃষ্টি ঝড়ছে তখনো অঝোড় ধারায়দেখই মনটা খারাপ হয়ে গেল-মাত্র ১০টাকার জন্য ও যে ঔষধ কিনতে পারেনি...
কিছুক্ষণ যেতেই বিরক্ত মুখে চায়ের দোকান থেকে উঠে পড়ল সে।হাটতে লাগল বড় রাস্তা ধরে-আর চোখ দুটো আনমনে খুঁজতে লাগলো কাগজ।ওকে এক ঝোলা কাগজ যোগাড় করতেই হবে।কিন্তু বৃষ্টি যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে-থামটেই চায়না।আর রাস্তায় ফেলে দেয়া সব দরকারী-বেদরকারী-ছেঁড়া- ভাল টুকরো করা সমস্থ কাগজ নিঃসংকোচে ভিজিয়ে দিয়ে গেছে সবার অজান্তে।
রাস্তায় গাড়ীঘোড়া কিছুই নেই।দুএকজন মানুষ হেঁটে যাচ্ছে ছাতা মাথায় এদিক সেদিক।আর কিছু প্রাইভেট কার ওদের মাঝে মাঝে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে সজোড়ে।
আস্তে আস্তে হাঁটতে থাকে সোহাগ-চোখ দুটো খুঁজতে থাকে কাগজ।কিন্তু নেই নেই কোন খানেই নেই একটুকরো কাগজ।চারদিকে ভিজে চকচক করছে পরিষ্কার রাস্তা।হটাৎ সোহাগের চোখদুটো আটকে গেল একটা ১৫তলা বাড়ির মাঝামাঝি তলার এক জানালায়-একটা ওর বয়সী ছেলে জানালার শিক ধরে খেলছে একটা কাগজে বানানো প্লেন নিয়ে।
চকচক করে উঠল সোহাগের চোখজোড়া।ঢোক গিলল সে কয়েকবার।মনে মনে চাইল যেন ছেলেটার হাত থেকে কাগজটা পড়ে যায় নিচে-আর একবার পড়লেই সেটা চলে যাবে সোহাগের থলেতে।
ভাগ্য সহায়-ছেলেটা সোহাগের দিকেই ছুঁড়ে দিল প্লেনটা।আর আকাশে ভাসতে ভাসতে সেটা কয়েকবার গোত্তা খেয়ে এসে পড়ল একেবারে সোহাগের পায়ের কাছে-আর সোহাগ ও সাথে সাথে ঝোলা বন্দী করল কাগজ টাকে।এটা দেখেই কি মনে করে সেই ছেলেটা একটার পর একটা কাগজের প্লেন ছুঁড়ে দিতে লাগলো সোহাগের দিকে।আর সোহাগ লাফিয়ে লাফিয়ে কাগজ পুড়তে লাগল তার ঝোলায়...
কেউই হয়ত দেখছে না হয়তো স্রষ্টা একাই দর্শক এ খেলায়- খেলোয়ার দুজন - একজনের কোন অভাব নেই - অভাব শুধু আনন্দের আরেক জনকে আজকের মধ্যেই কিছু টাকা জোগার করতেই হবে তার মাকে সুস্থ করে তোলার জন্য...........
এই বৃষ্টির ফোঁটাগুলো মাঝে মাঝেই এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে সোহাগকে-তাতেই ঠান্ডয় কেঁপে উঠল ওর শরীর।কুড়িয়ে পাওয়া শার্টটা ভিজে লেগে আছে ওর শরীরে। শুকিয়ে যাবার আগেই ওকে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে কাজে।গতকাল রাতে ও ওকে ভিজতে হয়েছে বৃষ্টিতে। ওর মা মনোয়ারা বুয়া খুব অসুস্থ-তবু ও ডাক্তার দেখাতে পারেনি সোহাগ।পাড়ার মোড়ের ডাক্তার সাহেব একশো টাকা না দিলে ওষুধ লিখে দেননা। তবুও বারকয়েক ডাক্তার সাহেবকে ডেকেও সাড়া না পেয়ে ওষুধের দোকানে গিয়াছিলো ওষুধ কিনতে।কিন্ত মাত্র দশ টাকা কম হওয়াতে দোকানের মালিক দামী ঔষধটা না দিয়েই তাকে বিদায় করে দেয়-কিন্তু নাছোড়বান্দা সোহাগ দাড়িয়ে থাকে সারারাত।শেষরাতে ওকে আশা ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে ই হল- দোকানদার মাত্র দশটাকার জন্য ওকে দামী ঔষধটা দিলনা-যেটা ছাড়া সে কোনভাবেই তার মাকে সুস্থ করে তুলতে পারবেনা....
ভোর রাতে বস্তিতে ফিরে এসে সোহাগ দেখে ওর মা ঘুমিয়ে পড়েছে।সকাল হতেই ঝোলা হাতে নিয়ে বের হতে গিয়ে দেখে বৃষ্টি ঝড়ছে তখনো অঝোড় ধারায়দেখই মনটা খারাপ হয়ে গেল-মাত্র ১০টাকার জন্য ও যে ঔষধ কিনতে পারেনি...
কিছুক্ষণ যেতেই বিরক্ত মুখে চায়ের দোকান থেকে উঠে পড়ল সে।হাটতে লাগল বড় রাস্তা ধরে-আর চোখ দুটো আনমনে খুঁজতে লাগলো কাগজ।ওকে এক ঝোলা কাগজ যোগাড় করতেই হবে।কিন্তু বৃষ্টি যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে-থামটেই চায়না।আর রাস্তায় ফেলে দেয়া সব দরকারী-বেদরকারী-ছেঁড়া- ভাল টুকরো করা সমস্থ কাগজ নিঃসংকোচে ভিজিয়ে দিয়ে গেছে সবার অজান্তে।
রাস্তায় গাড়ীঘোড়া কিছুই নেই।দুএকজন মানুষ হেঁটে যাচ্ছে ছাতা মাথায় এদিক সেদিক।আর কিছু প্রাইভেট কার ওদের মাঝে মাঝে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে সজোড়ে।
আস্তে আস্তে হাঁটতে থাকে সোহাগ-চোখ দুটো খুঁজতে থাকে কাগজ।কিন্তু নেই নেই কোন খানেই নেই একটুকরো কাগজ।চারদিকে ভিজে চকচক করছে পরিষ্কার রাস্তা।হটাৎ সোহাগের চোখদুটো আটকে গেল একটা ১৫তলা বাড়ির মাঝামাঝি তলার এক জানালায়-একটা ওর বয়সী ছেলে জানালার শিক ধরে খেলছে একটা কাগজে বানানো প্লেন নিয়ে।
চকচক করে উঠল সোহাগের চোখজোড়া।ঢোক গিলল সে কয়েকবার।মনে মনে চাইল যেন ছেলেটার হাত থেকে কাগজটা পড়ে যায় নিচে-আর একবার পড়লেই সেটা চলে যাবে সোহাগের থলেতে।
ভাগ্য সহায়-ছেলেটা সোহাগের দিকেই ছুঁড়ে দিল প্লেনটা।আর আকাশে ভাসতে ভাসতে সেটা কয়েকবার গোত্তা খেয়ে এসে পড়ল একেবারে সোহাগের পায়ের কাছে-আর সোহাগ ও সাথে সাথে ঝোলা বন্দী করল কাগজ টাকে।এটা দেখেই কি মনে করে সেই ছেলেটা একটার পর একটা কাগজের প্লেন ছুঁড়ে দিতে লাগলো সোহাগের দিকে।আর সোহাগ লাফিয়ে লাফিয়ে কাগজ পুড়তে লাগল তার ঝোলায়...
কেউই হয়ত দেখছে না হয়তো স্রষ্টা একাই দর্শক এ খেলায়- খেলোয়ার দুজন - একজনের কোন অভাব নেই - অভাব শুধু আনন্দের আরেক জনকে আজকের মধ্যেই কিছু টাকা জোগার করতেই হবে তার মাকে সুস্থ করে তোলার জন্য...........
No comments:
Post a Comment