Sunday, July 3, 2011

আমাদের দমিয়ে রাখতে তোমারা পারবেনা

অতঃপর একদল ছাত্র মিছিলে বের হয়
সকালে দাঁত মেজে কিনবা না মেজে
একদল মানুষ আরেক দলের বিরুদ্ধে মিছিলে বের হয়
এক দল প্ল্যাকার্ড লেখে
এক দল শ্লোগান লেখে
এক দল খানিক পড়েই মার খেতে হবে বলে মিছিলে বের হয়

পটভূমিকার নায়কেরা সেখানে ছিলোনা
সেখানে ছিল এক প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ- হয়ত ওরা মানুষ ছিল
কিন্তু ওদের গাড়ি ছিল
সেখানে ছিল টিয়ার গ্যাস
সেখানে ছিল রাবার বুলেট
সেখানে ছিল তেড়িবেড়ি গর্জন - খামোশ
সবাই চুপচাপ ছিল- কিন্তু
এই গর্জন শুনেই সবাই কিলবিল করে ঝাপিয়ে পড়ল
সবাই একে একে
সবাই সুরে সুরে
একই তানে- একই গানে - সেই রাজপথে
সেখানে টিয়ার গ্যাস এসেছে
সেখানে এসেছে রাবার বুলেট
কিন্তু কেঊ থামেনি।

আর তাই কেঊ একজন নিজের জীবন বাজী রেখে চলে গেল পুলিশের মাঝে
কেউ একজন সম্মান হারাবার ভয় না করে হাতাহাতিতে লিপ্ত
কেউ একজন শ্লোগান দিতে দিতে পুলিশের লাঠির আঘাতে ধরাশায়ী

কিন্তু কেউ দমে যাবেনা-
কেউ থেমে যাবে না
কেউ বলবে না পালাও
সবাই নিজের জীবন বাজি রেখে নেমে এসেছে রাস্তায়
সবাই নিজের সম্ভ্রম বাজি রেখে নেমে এসেছে রাস্তায়
সবাই সর্বস্ব হারানোর ভয় না পেয়ে নেমে এসেছে রাস্তায়

তাই একটা লাঠি থামাতে পারেনা সেই মিছিল
একটা কাদুনে বোমা কাঁদাতে পারেনা তাদের
বিক্ষোভে ওদের মাথায় আগুন থামাতে পারেনা কোন রাবার বুলেট
তাই ওপরের কারো নির্দেশে
একদল পুলিশের ধাওয়া খেতে হয় ওদের
ওরা পালায়-
কিন্তু পিছনে ফেলে রেখে যায় এক জ্বলন্ত আগুনে মশাল

তাই আজ মিছিল হবে-
আজ আগুন জ্বলবে
আজ দাঊদাঊ করে জ্বলবে বঙ্গোপসাগরের গ্যাস
আমি জানি সেই আগুনে পুড়ে মড়ার আগে
ছিড়ে ফেল সেই দলিল
যে দলিলে তোমরা দেশটাকে ভিখিরি বানিয়েছিলে
যে দলিলে তোমরা আমাদের ভিখিরি বানিয়েছিলে

মনে রেখো আমরা ভিখারি নই
আমরা বুনিয়াদি নই
আমরা বাঙ্গাল- আমরা বাঙ্গালি
আমরা খিদে পেটে চিৎকার করতে জানি
আমরা যুদ্ধ এলে রক্ত দিতে জানি
আমরা আঘাত এলে আঘাত দিতে জানি

আমাদের দমিয়ে রাখতে তোমারা পারবেনা।।

৩১ কাঠাল বাগান
- কোন এক অজানা ঘরে
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকে কোন এক নাম নাজানা মায়ের সন্তান-
মা বাবা অনেক কষ্ট করে লেখা পড়া করতে পাঠিয়েছিল ঢাকা
কিন্তু আজ তার সারা শরীর থেঁতলানো
কোন এক নাম নাজানা ছাত্রের গালে হাতে পাঁচ পাঁচ দশ আঙ্গুলের ছাপ
কেউ একজন তাদের মাঝেই আবার প্ল্যাকার্ড বানানোর কাজে মন দেয়
মনে মনে বলে ওঠে
প্রাণ দেব- কিন্তু দেশ দেবনা
প্রাণ দেব কিন্তু গ্যাস দেবনা

আর তখন দরজা ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে একদল দাঙ্গা পুলিশ-
হাতে লাঠি-যেন এটাই তাদের জন্ম থেকে অস্ত্র
মারতে থাকে সেই থাতলে যাওয়া শরীরে
মারতে থাকে সেই ছেলেটার মাথায়
মারতে থাকে সেই সব প্ল্যাকার্ড বানানো ছেলেটার
হয়ত মার থেমে যাবে
ওদের স্থান হবে জেলখানার কোন এক অন্ধ কুটুরিতে
কিন্তু এরকম ছেলে আছে শত শত
যারা শরীরে হাড় মাংস এক করে দিতে প্রস্তুত
যারা নিজের শরীরের তিন লিটার রক্ত দিতে প্রস্তুত
জেনো যতই দমন পীড়ন করো
আমাদের দমিয়ে রাখতে তোমারা পারবেনা ।।





কবিতাটা আরো লম্বা হতে পারে- তাই রিপোষ্টের আশা রাখি

No comments:

Post a Comment