Wednesday, December 28, 2011

✖✖✖একাকী সঙ্গীত ✖✖✖



পৃথিবীতে কেউ কারো নয়
সবাই একা
সবাই...
এমন কি আকাশের ঈশ্বর ও।
চাঁদ শুধু একা একা তারা গোনে
একটি ধ্রুব তারা মুখ তুলে দেখেনি
কোন বালিকা তারাকে
সারা জীবন অপেক্ষায় থেকে
পথ দেখিয়ে গেছে দিক ভ্রান্ত মানুষকে
সেই দিক ভ্রান্ত মানুষ ও গন্তব্যে গিয়ে
একদম একা।

একটি ছেলে একদিন অনেক সাধ করে
ফুল দিয়েছিল একটি মেয়েটাকে
ফুলটি রাখেনি মেয়েটি
তার পর থেকে ছেলেটি শুধু একা
একাকীত্বের শব্দ ঘুন ঘুন করে ঘোরে তার কানে
শব্দের তীব্রতায় বাধ্য হয় কানে হাত চেপে ধরে
চিৎকার করতে পারেনা-
মেয়েটি ও বিছানায় শুয়ে থাকে একা
অনেক মানুষের ভিড়ে একা
অনেক আসবাবের মাঝে একা
অনেক গল্পের মাঝে একা

কারন চিৎকার শোনার সময় ছিলনা কোন কারো
সবাই নিজের জন্য দৌড়ায়
সবাই নিজের জন্য বেঁচে থাকে
সবাই নিজের জন্য
এমনকি একটা মুমূর্ষু মানুষ ও নিজের জন্য
শুধু নিজের জন্য বেঁচে থাকতে চায় বলেই
সবাই স্বার্থপর হয়
সবাই নিজেকে ভালবাসে সব চেয়ে বেশি
সবাই নিজেকে লালন করে লালসার মাঝে
একজন বালকের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়া
কারো কান্নার কারন হয়না
একজন মানুষের মরে যাওয়া মনে রাখেনা বেশি দিন
একজন মানুষের অভাব মেটায় আরেকজন
একজন মানুষের জন্য থেমে থাকেনা কোনকিছুই
একজন মানুষের জন্য অপেক্ষা করেনা কেউ
-নিখাদ স্বার্থ ছাড়া

এইজন্য চিৎকার করে বলি
পৃথিবীরে প্রেম বলে কিছু নেই
এই পৃথিবীর সকল প্রানী
বেঁচে থাকার জন্য সম্পর্ক করে
এই পৃথিবীর সূর্য অস্ত যাবার পর প্রতিটি মানুষ একা
খুব একা।

একাকী থাকার সময় মনের ভেতর বেজে ওঠে একাকী সাইরেন
আকাশের ভেতরে বেজে ওঠে বিকট চিৎকার
মাথার নিউরন গুলো ওলট পালট করে ভেসে আসে নিঃসঙ্গ পদশব্দ
তখন মনে হয়
পৃথিবীতে সবাই একা
সবাই
আকাশের ঐ ঈশ্বর মানুষকে একা করেই পাঠিয়েছেন
একা একা পথ চলা শেখার জন্য
হয়ত নিজের মত করে জীবন ধারনের জন্য
নিজের কষ্ট বুঝাবার এর চাইতে ভাল কোন উপায়
হয়ত ছিলইনা ঈশ্বরের কাছে।।

































No comments:

Post a Comment